কুমার মাধব :: ২৪ ঘন্টা লাইভ :: ২৪শে নভেম্বর :: মালদা :: ঝাড়খণ্ড থেকে মালদহের মানিকচক ঘাটের মধ্যে বার্জে লরি চলাচল এখানকার পরিচিত দৃশ্য। এক একটি বার্জে ১০ থেকে ১২টি লরি পারাপার করা হয়। সড়কপথে অনেক ঘুরে আসতে হয় বলে লরি চালকরা এই জলপথই বেছে নেন। যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীরাও পারাপার করেন এই বার্জগুলিতে। দু’টি ঘাটই নিয়ন্ত্রণ করে ঝাড়খণ্ড সরকার। ঘাটের বরাতও পড়শি রাজ্য থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু বার্জগুলিতে ক্ষমতার তুলনায় অতিরিক্ত লরি বা পণ্য পরিবহণ হচ্ছে কি না, সে সব ঠিকমতো নজরদারি হয় না বলে অভিযোগ।
সোমবার সন্ধ্যায় ঝাড়খণ্ডের রাজমহল ঘাট থেকে পাথর বোঝাই ১০টি লরি মালদহের মানিকচক ঘাটে এসে ভিড়েছিল। বার্জ থেকে এক এক করে লরি নামছিল। একটি লরি নেমে নিরাপদে নদীর ঘাট থেকে উপরে উঠে আসে। কিন্তু দ্বিতীয় লরিটি নামার সময়েই বিপত্তি। লরিগুলির ভারে এক দিকে কাত হয়ে উল্টে যায় বার্জটি। ফলে ৮টি লরিই ডুবে যায় জলে।
এই দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মানিকচক ঘাটে পৌঁছয় পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল। ঘটনাস্থলে ছিলেন মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া এবং জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মালদহেই ছিলেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। খবর পেয়ে তিনি ও জেলা সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে যান।
গভীর রাত পর্যন্ত ১৪জন নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১২জন সাঁতার কেটে গঙ্গার বিভিন্ন পাড়ে উঠে এসেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ২ জন এখনও নিখোঁজ। নিখোঁজ দু’জন হলেন বছর পঁয়ত্রিশের ময়না শেখ এবং বছর চল্লিশের মন্টু শেখ। শোনা যাচ্ছে, তাঁরা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার ভোরে গতি পেয়েছে সেই উদ্ধারকাজ।পাথর বোঝাই ৮টি লরি-সহ বার্জটি এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গঙ্গাবক্ষে জলের তলায়